islamic_manners

সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের, যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক। দরুদ ও সালাম পেশ করছি সাইয়িদুনা নবি মুহাম্মাদ সা.-এর ওপর। আল্লাহ তায়ালা তাকে, তাঁর পরিবার ও বংশধরদের, তাঁর সাহাবিদের এবং সকল অনুসারীদের ওপর রহম করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সাহায্য করুন, যাতে আমরা মৃত্যুর আগপর্যন্ত দ্বীন ইসলাম এবং এর সকল শিষ্টাচার ও আদব মেনে চলতে পারি। আমাদের কাজে-কর্মে এর প্রতিফলন ঘটাতে পারি।
এ বইটিতে আমি ইসলামের সুপারিশকৃত খুব সহজ কিছু রীতিনীতি, প্রথা ও অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করেছি। আমার বক্তব্যের স্বপক্ষে বেশ কিছু হাদিসকে রেফারেন্স হিসেবে উপস্থাপন করেছি। এই হাদিসগুলোর সবগুলোই সহিহ (নির্ভরযোগ্য) এবং হাসান (আদর্শ মানের)।
আমাদের সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে অনেককেই আমি দেখছি, যারা ইসলামের বিভিন্ন শিষ্টাচার সম্বন্ধে সম্যক ধারণা রাখে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে তারা এগুলোর ভুল ব্যাখ্যাও করে। বিষয়টা সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ও সুরভিত ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার নিয়তে আমাকে এ বইটি লেখার কথা ভাবতে হয়েছে। এ বইটির মাধ্যমে ইসলামের সুমহান দৃষ্টিভঙ্গি, আচার-আচরণ ও ব্যবহারিক উৎকর্ষতার বিষয়গুলোকে আরও একবার মুসলিম তরুণ প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
ইসলামে মানুষের জীবনের প্রতিটি ঘটনা ও ক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই যাপিত জীবনের আদব ও শিষ্টাচারের গুরুত্বও ইসলামে অপরিসীম। আমি নিজেও পুরোপুরি ও যথাযথভাবে এসব শিষ্টাচার মেনে চলতে পারার দাবি করি না। তারপরও মানুষকে এইসব নেক আমলের বিষয়ে সচেতন করা, এই আমলগুলোর অনুশীলনে উদ্বুদ্ধ করা এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য চেষ্টা করাকে আমি ঈমানের অন্যতম দাবি বলেই মনে করি। রাসূল সা. বলেছেন, “ঈমানদারদের মধ্যে তারাই এগিয়ে থাকবে, যাদের আদব ও শিষ্টাচার উন্নত।” সুনানে আবু দাউদ

আমার প্রত্যাশা- এ বইটি মানুষকে দায়িত্ব ও করণীয় সম্পর্কে সচেতন করবে, যেখান থেকে সকল পাঠক বিশেষ করে বিশ্বাসী লোকেরা অনেক বেশি উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা যেন দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদের হিদায়াতের ওপর রাখেন। সব ধরনের ওয়াসওয়াসা থেকে তিনি যেন হেফাজত করেন। আমিন।

আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ

রিয়াদ, ১ মহররম, ১৪১২